বাংলা নববর্ষে শাড়ি পরার নানা ধরন!

বাংলা নববর্ষে শাড়ি পরার নানা ধরন!

রাত পোহালেই বাংলা নববর্ষ। অনেক ঘটনা, অনেক স্মৃতি, হাসি-কান্না তথা আনন্দ-বেদনার স্মৃতিবিজড়িত বছরটি আজ চলে যাবে মহাকালের গর্ভে চিরকালের মতো। আর কোনদিন একে খুঁজে পাওয়া যাবে না। দিন পেরিয়ে রাত পোহালেই আসবে আরেকটি বছর, দিনের সূর্য উদিত হতেই শুরু হয়ে যায় নববর্ষ। কারণ বাঙালী রীতিতে দিন শুরু হয়ে থাকে সূর্য ওঠার পর থেকেই। আর রবী ঠাকুরের ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গানের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় উৎসব। রাজধানীতে ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে রমনার বটমূলে ছায়ানটের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ষবরণের অনুষ্ঠানমালা। ছায়ানটের অনুষ্ঠান দিয়ে শুরু হলেও বর্ষবরণের উৎসব ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায়। লাখো মানুষের জনস্রোত মিশে যায় জীবনের উৎসবে।

নতুন বাংলা বছর ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। নতুন বছরকে সবাই স্বাগত জানাবে। আনন্দে মাতবে দেশের মানুষ। বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হবে সব স্থানে। আর বাঙালীর বর্ষবরণের সাথে মেয়েদের শাড়ি পরা যেন একটা নিয়মে পরিনত হয়েছে। এই আনন্দের ভিড়ে শাড়িতে কীভাবে হয়ে উঠবেন অনন্যা তারই কিছু নিয়মকানুন নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন-

আনন্দের ভিড়ে শাড়িতে কীভাবে হয়ে উঠবেন অনন্যা তারই কিছু নিয়মকানুন নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন-

আনন্দের ভিড়ে শাড়িতে কীভাবে হয়ে উঠবেন অনন্যা তারই কিছু নিয়মকানুন নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন-

*অল্প কুঁচি দিয়ে পরে অনেক লম্বা আঁচল সুতি বা যে কোন শাড়িতে ভাল লাগবে যে কাউকে। আঁচলের অংশটি গুছিয়ে প্লিট করে বাঁ কাঁধের ওপর ফেলে পিছনের অংশ ডান হাতের নীচ দিয়ে এনে বাঁ কাঁধে পিন করে নিন।

নানা রঙের উজ্জল চেকের যে কোন শাড়ি। কুঁচি উণ্টো দিকে গোঁজা।

নানা রঙের উজ্জল চেকের যে কোন শাড়ি। কুঁচি উণ্টো দিকে গোঁজা।

*ট্রাডিশনাল যে কোন শাড়ি কুঁচি দিয়ে, সঙ্গে লম্বা সিল্ক জ্যাকেট পরতে পারেন।  জ্যাকেটের বাঁ দিকের নীচের অংশ শাড়ির ভিতরে থাকবে।

*নানা রঙের উজ্জল চেকের যে কোন শাড়ি। কুঁচি উণ্টো দিকে গোঁজা। অনেকগুলো কুঁচি দিতে হবে।  আঁচল হবে ছোট। সঙ্গে স্লিভলেস খিড়কি জ্যাকেট। আঁচলের পমপম নজরে পড়ে, দেখতেও দারুন লাগে।

যে কোন তাঁতের শাড়ি বা ধনেখালি শাড়ি পরতে পারেন।

যে কোন তাঁতের শাড়ি বা ধনেখালি শাড়ি পরতে পারেন।

*যে কোন তাঁতের শাড়ি বা ধনেখালি শাড়ি পরতে পারেন। সাদাসিধে ভাবে পরে বাকি অংশ কোমরে দু’বার পেঁচিয়ে আঁচলের কোনার সঙ্গে পিঠের কাপড় তুলে গিঁট বেঁধে দিলে আঁচলের কাজ সামনে থাকে, দেখতেও দারুন লাগে।

*লাল সিল্ক বর্ডারের কাঁথাস্টিচের আঁচলটিই এই শাড়ির বৈশিষ্ট্য।তাই কুঁচি দিয়ে পরে লম্বা আঁচল রেখে, হাঁটুর ওপর থেকে অ্যাসিমেট্রিক ভাবে কাঁধে ফেলা।

*ভারি কাঞ্জিভরম বা কোন কোন শাড়ি কুঁচি দিয়ে, লম্বা আঁচল করে পরাই ভাল। কিন্তু নতুনত্ব কিছু চাইলে শাড়ির সঙ্গে দেওয়া ব্লাউজ পিচ দিয়ে ব্লাউজ না বানিয়ে হাইনেক স্লিভলেস সিকুইসড জ্যাকেট পরুন। একেবারে অন্যরকম দেখাবে। কানে ঝোলা দুল, নিউ হেয়ারস্টাইল।

*খাদি সিল্কের বাঁধনী শাড়ি আঁচলের দিক থেকে কুঁচি দিয়ে সামনে গোঁজা হয়েছে। বাকি অংশ কিছুটা পেছনে গুঁজে ঘুরিয়ে বাঁ কাঁধে ফেলা হয়েছে। কোমরে সিলভার বেল্ট, কানে পাশা ও হাতে যা মন চায় তাই পরুন।

*বৈশাখ মানে বাড়িতে নানা রকম এর কাজ থাকে। তখন শাড়ি সাদাসিধে ভাবে পরে লম্বা আঁচল পেছনে থেকে ফোল্ড করে সামনে গিঁট বাঁধতে হবে। সফিসটিকেটেড ট্রাইবার লুকে আপনাকে দারুন লাগবে।

সূত্রঃ সানন্দা

সর্বাধিক পঠিত

সাম্প্রতিক