হাল ফ্যাশনের হাতঘড়ির হালচাল

হাল ফ্যাশনের হাতঘড়ির হালচাল

মনে পড়ে সেই সময়টার কথা যখন বিয়ে মানেই জামাইকে ক্যাসিও, রোয়েমা কিংবা সিকো ফাইভ ঘড়ি দেয়া মোটামুটি একটা বাধ্যতামূলক রীতির পর্যায়ে পড়ত? এখন অবশ্য সেইদিন আর নেই। সবার হাতে হাতে থাকা মুঠোফোন সময়কেও আজ এনে দিয়েছে মানুষের হাতের মুঠোয়।

তাই বলে ঘড়ি পরার চল যে একেবারেই চলে গেছে তাও কিন্তু নয়। তরুণ প্রজন্মের হাতে মোটা চেইন আর বড় ডায়ালের ঘড়ি শোভা পাচ্ছে হরহামেশাই। একদিকে সামর্থ্যবান লোকজন শরণাপন্ন হচ্ছেন ব্র্যান্ডেড শপগুলোতে, অপরদিকে ছাত্র বা মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের জন্য আজও ভরসা নন-ব্র্যান্ডেড কম দামি ঘড়িগুলো। তবে ব্র্যান্ডের প্রতি ঝোঁক নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর! তাই ঢাকার দোকানগুলো ঘুরে ব্র্যান্ডেড ঘড়ির বর্তমান বাজারদর ও খুঁটিনাটি জানাতে আমাদের আজকের আয়োজন।

কোথায় পাবেন ব্র্যান্ডেড ঘড়ি?

ব্র্যান্ডেড সব হাতঘড়ি পাওয়া যাবে ঘড়ির নির্দিষ্ট শো-রুমগুলোতে। যেমন ক্যাসিওর নিজস্ব শো-রুম আছে বিজয় স্মরণীতে। রাজধানীর নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, বায়তুল মোকাররম, পাটুয়াটুলীসহ বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্সের হাতঘড়ির দোকান থেকেও আপনার পছন্দের হাতঘড়িটি কিনে নিতে পারেন। বসুন্ধরা সিটির গ্রাউন্ড ফ্লোরে গেট দিয়ে ঢুকেই বাম দিকে অনেক ভাল ভাল ঘড়ির দোকান পাবেন।

আমাদের দেশে পাওয়া যায় এমন কিছু আর্ন্তজাতিক মানের ব্র্যান্ড হচ্ছে পিরেরে ডুরাল্ড,
ফিনিপ পাটেক, পিরেরে কার্ডিন, রোলেক্স, লনজিন্স, সিটিজেন, সিকো, ফাস্ট ট্র্যাক,
টাইটান, ওমেগা, রোমানসন, ক্যাসিও, রাডো, ক্রিডেন্স। নারী-পুরুষ সবার জন্য আলাদা ডিজাইনের ঘড়ি পাওয়া যাবে এই ব্র্যান্ডেড শপগ্যলোতে।

ঘড়ির দরদাম

এখনকার হাতঘড়ির বাজারগুলোতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রায় সব হাতঘড়িই পাওয়া যায়। ঘড়ির দাম নির্ভর করে এটি কোন ব্র্যান্ডের ঘড়ি তার ওপর। বসুন্ধরা সিটির নিচতলায় ওয়াচ ওয়ার্ল্ড, টাইম জোন, স্যাকো ওয়াচ প্রভৃতি ঘড়ির শো-রুমগুলোতে ঘুরে এসব দামি ঘড়ির দরদাম কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া গেল।

এখনকার হাতঘড়ির বাজারগুলোতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রায় সব হাতঘড়িই পাওয়া যায়

এখনকার হাতঘড়ির বাজারগুলোতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রায় সব হাতঘড়িই পাওয়া যায়

টাইটান ব্র্যান্ডের ঘড়ি পাওয়া যাবে ২ হাজার ৮৭৫ টাকা থেকে ১৮ হাজার ২০০ টাকায়, ফাস্ট ট্রাক ৪ হাজার ৬২০ থেকে ৮ হাজার ২২০ টাকায়। এছাড়াও ওরিয়েন্ট ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৫০ হাজার টাকা, রোমার ১২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা, টিসোর্ট ২৫ হাজার থেকে লাখ টাকা, ইয়ার্ডো ৪০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা, প্যারিলাইনার ৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার, ট্যাগহিয়ার ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ, রোমানসন পাঁচ হাজার থেকে ৪৫ হাজার, ওয়েস্টার ২ হাজার থেকে ১৫ হাজার, সিটিজেন ১ হাজার ৭০০ থেকে ৩০ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে। আর ওমেগা ব্র্যান্ডের ঘড়ির দাম শুরু হয়েছে ১ লাখ টাকা থেকে।

ব্র্যান্ডেড ঘড়ি ছাড়াও চায়না থেকে আমদানিকৃত নন-ব্র্যান্ডেড কালারফুল রাবার, চেইন ও কাপড়ের বেল্টে তৈরি বিভিন্ন ঘড়ির দাম পড়বে ২২০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত। আর এলইডি যুক্ত ডিজিটাল ঘড়ির দাম পড়বে ৩৫০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে। এসব ঘড়ি পাবেন নিউ মার্কেট, বায়তুল মোকাররম সহ যেকোনো ঘড়ির দোকানে।

বাজারে টাইটান বা ওমেগা কিংবা ফাস্ট ট্রাকের নাম করে প্রচুর নকল ঘড়ি বিক্রি হয়। কাজেই সত্যিকারের ব্র্যান্ডেড ঘড়ি পেতে হলে কষ্ট করে চলে যান সেসব ব্র্যান্ডের আসল ডিলারদের কাছে। আর আপনার ক্রয়কৃত ঘড়িটির ওয়ারেন্টি কার্ড চেয়ে নিতে ভুলবেন না যেন।

তথ্যসূত্রঃ বিডি নিউজ ২৪ ডট কম

সাম্প্রতিক