কর্মজীবি পরিপূর্ণাদের রূপচর্চা

কর্মজীবি পরিপূর্ণাদের রূপচর্চা

কর্মজীবি নারীদের অনেক কিছু সামলাতে হয়। অফিস, পরিবার থেকে শুরু করে বাচ্চাদের সামলাতে গিয়ে অনেক সময়ই রাতে ঘুমোতে ঘুমোতে দেরি হয়ে যায়। ঘুম থেকে উঠে অনেকেরই অফিসে যাবার তাড়াহুড়ো থাকে, কিন্তু এই স্বল্প সময়েও কিন্তু একটু বুদ্ধি আর কৌশল খাটালে ঝটপট সাজগোজ করে রেডি হওয়া সম্ভব। ব্যস্ত কর্মজীবি নারীরা যারা ঘরে-বাইরে সব জায়গাতেই পূর্ণ ডেডিকেশন দিয়েও নিজেকে নিজের জন্য সুন্দর দেখতে চান, তারা পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে পারেন। এতে করে দ্রুতই হয়ে যাবে আপনার সাজগোজ।

রাতের প্রস্তুতি: পরিষ্কার কটনপ্যাড/ তুলোর বল/ সফট ফেসিয়্যাল টিস্যুতে নারিকেল তেল লাগিয়ে আস্তে আস্তে পুরো মুখ আর গলা ভালো করে মুছে নিন। এতে করে স্কিনের কোনরকম ক্ষতি ছাড়াই সব মেকআপ, অথবা যারা মেকআপ করেন না, সবারই মুখের ও গলার ত্বক পরিষ্কার হয়ে যাবে। নারিকেল তেল খুবই সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য, সেই সাথে ভীষণ স্কিন ফ্রেন্ডলি। এরপর নিজের ত্বক এবং বাজেট অনুযায়ী ভালো মানের কোন ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ এবং গলা ভালো করে ধুয়ে নিন, আলতো করে মুখ মুছে টোনার লাগিয়ে মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করুন। তারপর ভালো মানের কোন নাইট ক্রিম, বা রেগুলার ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। ড্রাই স্কিন হলে কয়েক ফোঁটা এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল আর আরগান অয়েল মিক্স করে লাগাতে পারেন, আর অয়েলি স্কিনের জন্য অ্যালোভেরা জেলই যথেষ্ট। চুলটা সম্ভব হলে সন্ধ্যায় তেল লাগিয়ে আধঘণ্টা রেখে রাতেই শ্যাম্পু করে ধুয়ে, শুকিয়ে আলতো করে বেঁধে নিন, এতে করে সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনার চুল ধোয়ার দুশ্চিন্তা থাকবে না, আর চুল ফেটে যাওয়াটাও কম হবে। ভাবছেন রাতেরবেলা এত ক্লান্ত লাগে, এতকিছু করার সময় কোথায়? বিশ্বাস করুন, এই পুরো প্রক্রিয়াটি করতে আপনার সর্বসাকুল্যে ১০ মিনিট সময় লাগবে। নিজের ভালো লাগার জন্য ১০ মিনিট সময় বের করতে পারবেন না?

ক্লিঞ্জিং ও ময়েশ্চারাইজিং: সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করে মাউথওয়াশ দিয়ে ভালো করে কুলি করে নিন। এ কাজটা কিন্তু অনেকেই করেন না, কিন্তু শুধু ব্রাশ করলে কিন্তু নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ অনেক সময়ই যায় না। তাই মাউথওয়াশ দিয়ে কুলি করাটা জরুরী। এরপর আবারও ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন, টোনার লাগিয়ে মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করে হালকা কোন ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।সাজগোজ: সবচেয়ে প্রিয়, এবং অনেকের কাছেই ঝামেলাকর মনে হওয়া সাজগোজের ধাপটায়। আপনার স্কিনে যদি খুব বেশি দাগ, চোখের নিচের কালো দাগ, পিম্পল না থাকে, তাহলে বিবি ক্রিম আপনার জন্য পারফেক্ট। অথবা আপনি চাইলে এক ফোঁটা ফাউন্ডেশনের সাথে আপনার রেগুলার ময়েশ্চারাইজার বেশ খানিকটা নিয়ে হাতের তালুতেই ভালো করে মিক্স করে পুরো মুখে আর গলায় লাগিয়ে নিন, এতে করে আপনার আলাদা করে বিবি ক্রিম কেনার দরকার নেই, ঐটাই আপনার টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে। একটা ভেজা বিউটি ব্লেন্ডার দিয়ে চেপে চেপে পুরো মুখে জিনিসটা সেট করে নিন। যদি খুব বেশি ডার্ক সার্কেল এবং দাগ-টাগ থাকে, তাহলে কন্সিলার লাগিয়ে নিন এবং সেটা আঙ্গুলের ডগা দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। চাইলে এটা ভেজা বিউটি ব্লেন্ডার দিয়ে চেপে চেপে সেট করে নিতে পারেন। এবার পুরো মুখ আর গলায় কম্প্যাক্ট পাউডার বুলিয়ে নিন। চাইলে এক্ষেত্রে লুজ পাউডার ও ব্যবহার করতে পারেন। এরপর আপনার দরকার একটুখানি কাজল/ আইলাইনার, যদি মন চায় তবে মাশকারা, আর ঠোঁটে একটু লিপস্টিক। ব্যস আপনি অফিসের জন্য রেডি!

সাম্প্রতিক

You have successfully subscribed to the newsletter

There was an error while trying to send your request. Please try again.

Living Art Style will use the information you provide on this form to be in touch with you and to provide updates and marketing.