কিভাবে সহজে ওজন বাড়াবেন?

কিভাবে সহজে ওজন বাড়াবেন?

বেশিরভাগ মানুষ ওজন কমাতে চায়। তাই ওজন কমানোর বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোচনাও করা হয় বেশি। কিন্তু যাদের দেহের গড়ন পাতলা ও হাড্ডিসার তারা ওজন বাড়ানোর জন্য কত চেষ্টাই না করেন! আপনি কি তাদের মধ্যে একজন? তাহলে আপনার জন্যই আজকের এই ফিচারটি। দ্রুত ও স্বাস্থ্যকর উপায়ে শরীরের ওজন বৃদ্ধি করার কয়েকটি পন্থা দেয়া হলঃ

১। দিনে কয়েকবার খান

যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাদের জন্য অবশ্য পালনীয় একটি নিয়ম হচ্ছে দিনে কয়েকবার খাওয়া। অর্থাৎ আপনাকে দিনে ৫-৬ বার পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

–   এর অর্থ এই নয় যে, আপনি জাংক ফুড ও চিনি যুক্ত খাবার খাবেন। অর্থাৎ  আপনাকে প্রচুর আমিষ ও শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। বাদাম,  পিনাট বাটার, পনির ও অ্যাভোকাডো স্ন্যাক্স হিসেবে খেতে পারেন।

–   লো-ফ্যাট মিল্কের স্মুদি ও ফলের জুস পান করুন শক্তি বৃদ্ধির জন্য। খাবার গ্রহণ করার আধা ঘন্টা আগে বা পরে পানীয় পান করুন।

২। সঠিক ফ্যাট গ্রহণ করুন

প্রক্রিয়াজাত খাবারে খারাপ ফ্যাট থাকে বলে এগুলো থেকে দূরে থাকুন। ভালো ফ্যাট যুক্ত খাবার যেমন- চীনাবাদাম, কাজুবাদাম ও অলিভ ওয়েল, দই, ফ্রুট পাই ইত্যাদি  খান।

যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাদের জন্য অবশ্য পালনীয় একটি নিয়ম হচ্ছে দিনে কয়েকবার খাওয়া

যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাদের জন্য অবশ্য পালনীয় একটি নিয়ম হচ্ছে দিনে কয়েকবার খাওয়া

৩। উচ্চমাত্রার প্রোটিন গ্রহণ করুন

প্রচলিত একটি কথা হচ্ছে, মাংস খেলে মাংস বাড়ে। প্রোটিন শরীরের মাংসপেশি, অস্থি, ত্বক, চুল ও রক্তের গঠনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। তাই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন- মাংস, মাছ, দুধ, ডিম, পনির খান।

৪। শর্করা গ্রহণ করুন

মাসেল গঠনে সাহায্য করার পাশাপাশি শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য শর্করা প্রয়োজন। আপনার শরীরের শক্তির প্রধান উৎসই হচ্ছে শর্করা। বাদামী চাল, পাস্তা, আলু হোল গ্রেইন খাবার খান। এই খাবারে যে চিনি থাকে তা আস্তে আস্তে রক্তস্রোতে মিশে এবং দীর্ঘ সময় যাবত এনার্জি প্রদান করে।

৫। রাতে দেরি করে খান

আপনার খাবার গ্রহণের সময় পরিবর্তন করুন। রাতের খাবার দেরি করে খান এবং তারপর ডেজার্ট খান। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা যায় যে, যারা রাত ৮টার পর স্ন্যাক্স খান তাদের বডি মাস ইনডেক্স বেশি থাকে এমনকি তারা যদি দৈনিক পর্যাপ্ত ক্যালোরি না গ্রহণ করে তাও। এজন্য গবেষকেরা বিভিন্ন কারণের সমন্বয় করেছেন, তার মধ্যে টাইমিং একটি কারণ।

তথ্যসূত্রঃ হেলথ টিপস ডট কম

সাম্প্রতিক

You have successfully subscribed to the newsletter

There was an error while trying to send your request. Please try again.

Living Art Style will use the information you provide on this form to be in touch with you and to provide updates and marketing.