নতুন ফ্ল্যাট কিনতে যাচ্ছেন?

ক্রেতারা তাদের সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে ফ্ল্যাট কেনার স্বপ্ন দেখেন। তাদের এই স্বপ্নকে কাজে লাগায় কিছু প্রতারক ব্যবসায়ী। অনেক সময় তাদের চটকদার বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হয়ে সাধারণ ক্রেতারা বিপাকে পড়েন। অনেকে সারা জীবনের সঞ্চয়ই কেবল হারান না, ব্যাংক ঋণে জর্জরিত হয়ে সর্বশান্ত হয়ে যান। সে কারণে ক্রেতাদেরই বেশি সাবধান হওয়া প্রয়োজন। চুক্তি করার সময় সবদিক খেয়াল রেখে চুক্তি করতে হবে।
তাহলে জেনে নিন ফ্ল্যাট কেনার অাগে কী কী করণীয়ঃ
আর অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কেউ যদি এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে আপনি রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর সহায়তা নিতে পারেন।
ক্রেতা হিসেবে এই আইনে আপনি যেসব সুবিধা পাবেন
– এই আইনে বলা হয়েছে, চুক্তিতে ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য উল্লেখ করতে হবে।
– চুক্তিতে অবশ্যই যেসব উপকরণ ব্যবহার করা হবে তার বিবরণ থাকতে হবে। প্রণীত অনুমোদিত নকশা আবাসন নির্মাতা দিতে বাধ্য থাকবেন।
– চুক্তির ভিত্তিতে পছন্দসই ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেবেন এবং আপনার বিনা অনুমতিতে বরাদ্দ করা প্লট বা ফ্ল্যাট পরিবর্তন করতে পারবেন না।
– চুক্তিতে উল্লিখিত শর্তের বাইরে অতিরিক্ত কোনো অর্থ দিতে আপনি বাধ্য থাকবেন না। যদি কোনো উন্নতমানের সরঞ্জাম সংযোজনের দরকার হয়, তবে দুই পক্ষের পারস্পরিক সম্মতিতে অতিরিক্ত অর্থ দেওয়া যেতে পারে।
– সমুদয় মূল্য পরিশোধের তিন মাসের মধ্যে আবাসন নির্মাতা দখল হস্তান্তর, দলিল সম্পাদন ও নিবন্ধনের যাবতীয় কাজ সম্পাদন করে দেবেন। হস্তান্তরকালে আয়তন কমবেশি হলে তার মূল্য ক্রয়মূল্য অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে।

চুক্তিতে অবশ্যই যেসব উপকরণ ব্যবহার করা হবে তার বিবরণ থাকতে হবে।
– আবাসনের মূল্য ব্যাংকের মাধ্যমে এককালীন বা কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। এককালীন বা কিস্তিতে মূল্য পরিশোধে ব্যর্থ হলে আবাসন নির্মাতা ৬০ দিন আগে নোটিশ দিয়ে বরাদ্দ বাতিল করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে তিনি জমা করা অর্থ পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে চেকের মাধ্যমে একসঙ্গে ফেরত দিতে বাধ্য থাকবেন। আপনি বিলম্বিত সময়ের জন্য কিস্তির অর্থের ওপর ১০ শতাংশ হারে সুদ প্রদান সহকারে কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন। এটি তিনবারের বেশি করতে পারবেন না।
– আবাসন নির্মাতা নির্দিষ্ট সময়ে ফ্ল্যাট হস্তান্তরে ব্যর্থ হলে চুক্তিতে নির্ধারিত ক্ষতিপূরণসহ সব অর্থ আপনাকে ছয় মাসের মধ্যে ফেরত দিতে হবে। আর চুক্তিতে ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ না থাকলে তা পরিশোধিত অর্থের ওপর ১৫ শতাংশ হারে নির্ধারিত হবে।
– কোনো কারণে বরাদ্দ বাতিল করতে চাইলে আবাসন নির্মাতাকে আপনার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরিশোধিত অর্থের ১০ শতাংশ বাদ দিয়ে বাকি অর্থ তিন মাসের মধ্যে এককালীন চেক বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে ফেরত দিতে হবে।
তথ্যসূত্রঃ স্টাইল ক্যাস্টর ডট কম
সর্বাধিক পঠিত
চটকদার জলপাইয়ের আঁচার
ক্রেতারা তাদের সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে ফ্ল্যাট কেনার স্বপ্ন দেখেন।...
শীর্ষ ১০ ট্র্যাকিং টিপস
ক্রেতারা তাদের সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে ফ্ল্যাট কেনার স্বপ্ন দেখেন।...
রোদচশমার খুঁটিনাটি
ক্রেতারা তাদের সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে ফ্ল্যাট কেনার স্বপ্ন দেখেন।...
শীত কার্নিভাল; তরুণদের শীতের পোশাক.....
ক্রেতারা তাদের সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে ফ্ল্যাট কেনার স্বপ্ন দেখেন।...