বিয়ে বাড়ির শাড়ির ধরণ

বিয়ে বাড়ির শাড়ির ধরণ

এখন মৌসুম টাই কিন্তু বিয়ের। আর বিয়ে মানেই তিন চার রকমের অনুষ্ঠান! এখন যতই হোক প্রত্যেকটা অনুষ্ঠানে একেকটা জামা পড়া আবার মিলিয়ে ম্যাচিং গয়না পরা ও কিন্তু বেশ ঝক্কির ব্যাপার। যেখানে নিজের হোক বা মা-নানী-দাদির ,অনায়াসে কিন্তু আপনার লুকের বেশির ভাগ ই এই এক কাপড়ে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। শাড়ির ক্ষেত্রে যুগের কোনো তারতম্য নেই। এক যুগে যেটা ট্রেন্ডি আরেক যুগেই সেটা এস্থেটিক! সাথে চাই একটু কাজ করা ব্লাউজ ও মানানসই কিছু গহনা। কিন্তু সেই শাড়ির ই পরার ধাঁচে যদি আনি একটু পরিবর্তন কেমন হয় বলুন তো! চলুন সেটাই জেনে নেয়া যাক যে বিয়ে বাড়িতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ভেদে কতভাবে শাড়ি পরা যায়-

১.থিন-প্লিটেড স্টাইল:- শাড়ি বেশ পরিপাটি বা সুন্দর ভাঁজ দিয়ে পরার ট্রেন্ড কিন্তু শুরু হয়েছে আবারও। এই স্টাইলটা তরুণীদের মাঝে জনপ্রিয় বেশ। শাড়ি পড়ে আঁচল নেবার সময় পুরোটাই লম্বা ভাবে কয়েকবার ভাঁজ দিয়ে নিবেন। তারপর আঁচল ব্লাউজের সাথে পিন-আপ করে নিন। দরকার পড়লে শুধু আঁচলেও সেফটিপিন দিয়ে আটকে নিতে পারেন, এতে ভাঁজ বেশিক্ষন জায়গায় থাকবে। অনুষ্ঠান অনুযায়ী আগে বাগদান বা মেহেদী উৎসব টা হয়। সেক্ষেত্রে এই ভাবে শাড়ি পরে ধরণ টাই জমবে বেশ। 

২.বাঙালি রীতিতে:- এই শাড়ি পড়তেও যেমন ভাল্লাগে আবার বাঙালি নারীর সাথে যেন মানিয়েও যায়। এই শাড়ি পড়ার কায়দা হলো কোমরে শাড়ির যে বডি পার্ট সেটা কুঁচি ছাড়া পেঁচাতে থাকবেন এবং সুন্দর ও সমান ভাবে গুঁজে নিবেন। তারপর আঁচল নেবার সময় এক কাঁধে পিছন থেকে খানিকটা ঝুলিয়ে অর্থাৎ ঢিলা করে নিবেন ও অন্য কাঁধে আঁচলের শেষ প্রান্ত আসবে এটা সুন্দর ভাবে টেনে নিবেন। ব্যাস হয়ে গেল। চাইলে যায়নি কোমরে বিছা ও পড়তে পারেন, আপনাকে একটা শেপ দিবে। এই ভাবে আপনি হলুদ সন্ধ্যায় শাড়ি পড়তে পারেন, অনুষ্ঠান অনুযায়ী রং পছন্দ করে নিলে মানাবে বেশ। জামদানি হোক বা কাতান যে কোনো শাড়ি ই যেন এই কায়দায় নারীর গায়ে বেশ মানায়।

৩.সিকোয়েন্স স্টাইল:- এটাও ট্রেন্ডি লুকের মধ্যে ধরতে পারেন। এই শাড়ি পড়ার ধরণ টা সাধারণভাবে পরে আঁচল টা বেশ সিকোয়েন্স ভাবে দেয়া থাকে। এখন এরকম শাড়ি কিনতেও পাওয়া যায় আবার আপনি চাইলেই এই সিকোয়েন্স তৈরি করতে পারেন বিভিন্ন কাপড় জুড়ে দিয়ে। আঁচল টা এখানে আকর্ষণ। তরুণীদের মাঝে বেশ সাড়া পাওয়া ট্রেন্ড বর্তমানে এটি। রিসিপশনের জন্য একদম মানানসই ধরণ বলা চলে।

৪.সিঙ্গেল নট স্টাইল:- এই ক্ষেত্রে আঁচল ছেড়ে শাড়ি পড়তে হবে। তারপর আপনার আঁচলের শেষ প্রান্তের এককোনা নিয়ে কোমরের কাছে নোট করে বেঁধে নিতে পারেন। এটা কিন্তু আপনাকে বেশ সুন্দর একটা ফরমাল তাও উৎসবের আমেজ দিবে। আবার আপনাকে একটা শেপ ও দিবে। নট টা একটু পরিপাটি ভাবে করলে বেশ সুন্দর লাগবে দেখতে। বিয়ের দাওয়াতের জন্য একদম ই উপযোগী স্টাইল এটা। দেখতেও যেমন ক্লাসি লাগে এই স্টাইলে শাড়ি ম্যানেজ করতেও সুবিধা হয়।

৫.বেল্ট দিয়ে শাড়ি:- এই শাড়ির চল তরুনীদের মাঝে সব চেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই শাড়ি আপনি সাধারণভাবে পরেই আঁচল টা বিভিন্ন ভাবে নিতে পারেন। হোক সেটা সাধারণভাবে বা বাঙালি স্টাইলে বা গলায় পেঁচিয়ে যেভাবেই নিন না কেন, খালি আঁচল তা একটু বড় করে নেবেন যাতে করে কোমরে বেল্টের সাথে বেঁধে নিতে পারেন। এই স্টাইলে আপনাকে যেমন ট্রেন্ডি লাগে আবার আপনার বডি কেও শেপ দেয়। বেল্টের ক্ষেত্রে আপনি চওড়া বা সরু, চামড়ার অথবা জিন্সের যেকোনটাই পড়তেই পারেন। খালি খেয়াল রাখবেন শাড়ির সাথে যেন বেখাপ্পা না লাগে।

সাম্প্রতিক

You have successfully subscribed to the newsletter

There was an error while trying to send your request. Please try again.

Living Art Style will use the information you provide on this form to be in touch with you and to provide updates and marketing.