প্রিয়জনকে ভালোবাসা

প্রিয়জনকে ভালোবাসা

দিবসের উপহার

দেখতে দেখতে বছরটা শুরু হয়ে গেল। আর সামনেই কিন্তু ভালোবাসা দিবস, ১৪ ই ফেব্রুয়ারি। প্রিয়জন টা কিন্তু হতে পারে যে কেউ! হয়তো আপনার মা-বাবা, আপনার পরিবারের কেউ, কোনো বন্ধু বা হয়তো যেটা ভাবছেন সেটাই! এই একটা দিন কিন্তু তাদের কে ঘিরে। এই একটা দিন আমরা চাই তাকে স্পেশাল ফিল করাতে। কিভাবে করবো এই আয়োজন বা চেষ্টা? শুরু করি নাহয় উপহার দিয়েই!

এই দিন টা কিন্তু আপনার সেই মানুষটির জন্য অন্যরকম করতেই পারেন ছোট-খাটো উপহার দিয়ে। সেই উপহার টা হতে পারে আপনার সামান্য চেষ্টা। হ্যাঁ আপনি তাকে কোনো ট্যুর এ না নিয়ে গেলেও বা গোটা একটা রেস্টুরেন্ট না সাজিয়েও খুশি করতেই পারেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক একটু-

১.হাতে বানানো উপহার:- জি একদম ঠিক শুনেছেন! হাতে বানানো উপহার আপনার কাছে সামান্য মনে হলেও অনেকের কাছেই এটা অনেক কিছু। হতে পারে সেটা কোনো গ্রিটিং কার্ড যেখানে আপনি মনের ভাব প্রকাশ করলেন, হতে পারে হাতে লেখা চিঠি যেখানে থাকবে না বলা অনেক কথা, হতে পারে সেই মানুষের প্রিয় কোনো রান্না বা হাতে বানানো কোনো রুমাল বা শো-পিস। বানাতে গেলেই পাবেন অনেক রকমের অপশন। তাও যদি সম্ভব না হয় কিনে ফেলুন এক গুচ্ছ গোলাপ বা ফুলের মুকুট বা বেলি ফুলের মালা বা তার ই পছন্দের ফুল। তারপর দেখুন তার চেহারার গ্লো।

২.সুন্দর সময় যদি হয় উপহার:- হ্যাঁ তবে খারাপ কি! একবার নিজেই মনে করে দেখুন তো শেষ কোন সময়টা কোনো উপলক্ষ ছাড়া প্রিয় মানুষটির সাথে কাটিয়েছেন, কেমন ছিল সে সময়গুলো? মনে না করতে পারলেও তৈরি কিন্তু করে নিতেই পারেন তাইনা? চলে যান ঢাকার ই আসে পাশে কোথাও। বাজেট বেশি হলে কোনো রিসোর্টে আবার বাজেট কম হলে আসে পাশেই খোলামেলা কোনো জায়গায়,যেমন-উত্তরার দিয়াবাড়ি, পূর্বাচল, ৩০০ ফিটের মতন জায়গায়। আবহাওয়া অনুকূলে না হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। ঘুরে আসুন কোনো বাজেট ফ্রেন্ডলি রেস্টুরেন্টে।অথবা মুভি বা ডিনার ডেটের মতো স্বপ্ন কিন্তু পূরণ করে ফেলতে পারেন এই দিনটায়। মনে রাখবেন, সময় টা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। তাই মনোযোগ টা সময়ে দিন।

৩.পার্সোনালাইজড উপহার:- উপরের দুটি উপায়ের মধ্যে কোনোটাই যদি না হয় আপনার মন মতো তবে পার্সোনালাইজড করে দিন উপহার। হতে পারে সেটা ফোন স্ট্যান্ড, ফটো ফ্রেম, একই রকমের রিং, আপনাদের কোনো প্রিয় মুহূর্তের স্কেচ, পার্সোনালাইজড মগ ইত্যাদি। শুধু যে আপনাদের প্রিয় মুহূর্ত গুলো দিয়েই পার্সোনালাইজড করবেন তা না কিন্তু। আপনারই প্রিয় মানুষের কোনো ব্যান্ড বা টিভি সিরিজ বা মুভি ক্যারেক্টার দিয়েও মন মতো চাইলে বানিয়ে নিতে পারেন। না না নিজেকে বানাতে হবে না! অনলাইনে অথবা আশে-পাশে দোকানগুলোতে খুঁজলেই পাবেন এরকম দোকান যা আপনাকে আপনার উপহারটি করে দিবে মন মতো।

৪.প্রয়োজনীয় উপহার:- এবার একটু ছোটখাটো বিষয় গুলোর দিকে লক্ষ্য করি। আপনার প্রিয়জনের কোনো দরকারি জিনিস তাকে উপহার দিতে পারেন। এভাবে রাখুন তার প্রয়োজনের খেয়াল। হয়তো তার দরকার একটা হট ওয়াটার ব্যাগ, একটা ভালো আরামদায়ক ট্রাভেল কুশন(ঘাড়ের জন্যে), ভালো একটি ঘড়ি, হেড ফোন বা ফোন কাভার অথবা হয়তো একটা স্পা ডে। প্রয়োজন যা ই হোক না কেন আপনার সাধ্যের মধ্যে ই চেষ্টা করুন এই ছোট খাটো বিষয়ের খেয়াল রাখার।

প্রিয়জনের জন্য আকাশের চাঁদ-তারার ও দরকার নেই আবার কারো সাথে পাল্লা দেবার ও দরকার নেই যে ওর চেয়ে ভালো উপহার দিবেন। দরকার কিছুটা চিন্তা, কেয়ার আর ছোট খাটো জিনিসের খেয়াল। এই দিনটা যদি ওই মানুষটা কে ডেডিকেটেড করেন খুব খারাপ হবে কি? বরং আপনার সম্পর্কে আসবে এক নতুন মোড়।

সাম্প্রতিক