মুখের গড়নের সাথে মিলিয়ে হোক চুলের কাট

মুখের গড়নের সাথে মিলিয়ে হোক চুলের কাট

দীর্ঘদিন ধরে একই স্টাইলে চুল কাটাতে কাটাতে একঘেয়েমি ধরে গেছে অথচ কিভাবে নিজের চুলের স্টাইল পরিবর্তন করে নিজেকে আরও স্টাইলিশ লুক দেয়া যায় তা ভেবে না পেয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় কমবেশি সবাইকেই। চলতি ট্রেন্ডের চুলের কাট আপনাকে মানাবে কিনা বা অনেকগুলো পছন্দের চুলের কাটের মধ্যে কোনটা নিজে বেছে নিবেন তা নিয়ে দ্বিধায় ভুগতে হয় হরহামেশাই। তবে যদি জানা থাকে কোন আকৃতির মুখের গড়নের সাথে কেমন ধরণের চুলের কাট মানিয়ে যায়, তাহলে আর চুলের কাট নিয়ে ঝক্কি পোহাতে হবে না। নিজের মুখের গড়ন অনুযায়ী সহজেই বেছে নিতে পারবেন পছন্দের হেয়ার কাট-টি। সেইসাথে যখন খুশি তখন চুলের স্টাইলে আনতে পারবেন ভিন্নতা। বলাই বাহুল্য, মেয়েদের চুলের কাটে পরিবর্তন আনা মানে পুরো লুক পাল্টে যাওয়া। 

তো চলুন জেনে নেই কোন ধরণের মুখের গড়নের সাথে কোন চুলের কাট মানিয়ে যাবে-

লম্বাটে মুখের চুলের কাট

গোলাকার মুখের চুলের কাট

লং লেয়ার কাট

লম্বাটে মুখের সাথে ছোট চুল সবথেকে ভালো মানায়। তাই অনায়াসে করতে পারেন যে কোনো বব কাট। আবার চুল রাখতে পারেন ঘাড় পর্যন্ত। তবে যদি আপনার লম্বা চুল রাখার ইচ্ছা থাকে তাহলে সামনে থেকে ফ্রিঞ্জ কেটে নিয়ে একটি ভলিউম তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে ফ্রন্ট লেয়ার বা স্টেপ কাট দিতে পারেন। আপনার চুল যদি সোজা ধরণের হয় তাহলে তাহলে স্টেপ কাটে মানিয়ে যাবে বেশ। কারণ লম্বা মুখের চুলের কাটে অবশ্যই ভলিউম থাকতে হবে। নয়তো মুখ আরও লম্বা দেখাবে। হালকা কোঁকড়া চুলে লেয়ার বা স্টেপ যেকোন কাট দিতে পারেন।

গোলাকার মুখের চুলের কাট হবে লম্বাটে মুখের চুলের কাটের সম্পূর্ণ বিপরীত ধাঁচের। এ ধরণের মুখের গড়নের সাথে লম্বা চুল মানাবে বেশি। যদি কপাল চওড়া হয় তাহলে সামনে থেকে ফ্রিঞ্জ কাট দিতে পারেন। তা না হলে সামনে থেকে লং-লেয়ার মানিয়ে যাবে বেশ। আর পেছনে ইউ, ভি বা পছন্দের যেকোন কাটই দিতে পারবেন। সামনের দিকের লং ফ্রিঞ্জ আপনার মুখকে আরও লম্বা দেখাতে সাহায্য করবে যদি আপনি যেকোন একপাশে সিঁথি করেন। তবে যদি চুল ছোট রাখতে পছন্দ করেন তাহলে বেছে নিন স্ট্যাক-বব বা লাইন-বব হেয়ার কাট। এছাড়া যাদের চুল কোঁকড়া ধরণের তারা চুলকে স্ট্রেইট করে নিতে পারেন। এতে মুখ লম্বা দেখাবে। সেইসাথে একটি দারুণ স্টাইলিশ লুক আসবে। 

মিডিয়াম/শর্ট স্টেপ লেয়ার কাট

ডিম্বাকৃতি মুখের চুলের কাট

ডিম্বাকৃতি গড়নের মুখের সাথে প্রায় সব ধরণের চুলের কাটই মানিয়ে যায়। তাই আপনি যদি ডিম্বাকৃতি মুখের অধিকারি হয়ে থাকেন তবে আপনার চুলে যেকোন কাট দিয়েই এক্সপেরিমেন্ট করতে পারেন অনায়াসে। ছোট বা বড় যেকোন শেপেই রাখতে পারেন চুল। তবে চুল যদি খুব বেশী লম্বা হয় তাহলে মুখ লম্বাটে দেখাবে। এজন্য মাঝারি সাইজের চুল রাখতে পারেন পিঠ পর্যন্ত অথবা লম্বা চুলের সামনের দিকে ফ্রিঞ্জ কেটে নিতে পারেন। আবার চুল ছোট রাখতে চাইলে অবশ্যই ট্রাই করুন পিক্সি-বব কাট। এই চুলের কাটে আপনার বয়স কমপক্ষে ৫-৭ বছর কম দেখাবে এবং আপনি হয়ে উঠবেন অনন্যা।

চৌকো মুখের চুলের কাট

ব্যাঙস্ কাট

বলা যায়, চৌকো মুখের অধিকারিদের কপাল সবথেকে খারাপ। চাইলেই চুলের কাটে ভিন্নতা আনা তাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জের মতো। এর পেছনে কারণ হলো তাদের চোয়ালের গড়ন। চোয়ালের গড়নের কারণেই মূলত মুখ দেখতে চৌকো লাগে। তাই চোয়াল ঢেকে রাখাই হেয়ার কাটের মূল লক্ষ্য হতে হয়। ছোট বা মাঝারি কাটের চুল মানিয়ে যায় এধরণের মুখের গড়নে। এছাড়া যেকোন চুলের কাটেই সামনে থেকে ফ্রিঞ্জ দিতে হয় এমনভাবে যাতে চুলগুলো চোয়ালকে কভার করে।

পান পাতার আকৃতি মুখের চুলের কাট

আপনার মুখের গড়ন যদি হয় পান পাতার আকৃতি, তাহলে ধরে নিতে হবে আপনি প্রাচ্যের বহু প্রাচীন আদর্শের প্রতীক। দারুণ সুন্দর এই মুখের গড়নে তৈরি করা হয় সকল দেবী প্রতিমাকে। এধরণের মুখের সব থেকে আকর্ষণীয় অংশ হচ্ছে থুতনি। তাই চুলের কাট এমন হওয়া চাই যাতে থুতনিকে হাইলাইট করে। আপনার চুল যদি কোঁকড়া হয় তবে চুল লম্বা রাখতে পারেন অনায়াসে। আবার স্ট্রেইত চুল হলে সামনে থেকে ব্যাংগস বা শর্ট লেয়ার কাট দিতে পারেন।

পিক্সি বব কাট

সাম্প্রতিক