আজকের নারীর অফিস লুক/ফরমাল লুক

আজকের নারীর অফিস লুক/ফরমাল লুক

অফিসের কাজ, হোক সেটা ডেস্কে বা রোজকার মিটিং/প্রেজেন্টেশন একটা ফরমাল গেট আপ না নিলে ঠিক মানায় না। আর রোজ রোজ একই ধরণের পোশাকে যেন একঘেয়েমি টাও জেঁকে বসে। এই শাড়ি তো প্রতিদিন ফরমাল লুকের জন্য না। তাই যেন ফরমাল ও আবার আরামদায়ক পোশাক এখন শুধুমাত্র সময়ের দাবি।

এমন সময় ও ছিল যখন, নারীরা স্কুলে-কলেজে, বাইরে কাজে বা ঘুরতে বেরুলে শুধু শাড়ি পড়তো। দেখতে সুন্দর লাগলেও, শাড়ি পড়া আর সামলিয়ে কিন্তু শান্তি নেই। আর এখন যেন নারীরাও আরামকে বেশি প্রাধান্য দেয়। পোশাক এর পিছে এত মাথা ঘামানো কেন? কারণ আপনার বাহ্যিক লুক কিন্তু আপনার পারসোনালিটিতে একটা আলাদা আত্মবিশ্বাস দেয়। আপনি অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য এবং ভালো অনুভব করেন যেটা আপনার পারফরমেন্স এও ফুটে উঠে। তাই চটজলদি জেনে নেয়া যাক কয়েকটা ফরমাল লুক:-

১.বেসিক থেকে শুরু:- বেসিক ফরমাল লুক বলতেই কিন্তু মাথায় আসে এক কালারের বেসিক ফুলহাতা শার্ট (সাদা, কালো, ধূসর ইত্যাদি) আর অফিস প্যান্ট। হতে পারে সেটা প্যান্ট কাটিং বা গ্যাবাডিং। শার্টটা ইন করে পড়লে অফিসিয়াল ভাবটা আরো ফুটে উঠবে। চুল ঝুঁটি করাই শ্রেয়। একপাশে সিঁথি বা একদম সব চুল সামনে থেকে আঁচড়ে নিতে পারেন। এছাড়া চুল ছাড়লেও, সামনে সিঁথি করে চুল পেঁচিয়ে ক্লিপ দিয়ে আটকে দিতে পারেন। পরিপাটি লাগবে দেখতে। সাথে পাম্প-শু বা ফ্ল্যাট জুতা মানাবে। হিল না পড়ারই চেষ্টা করুন আর পড়লেও প্ল্যাটফর্ম হিল। সাথে ল্যাপটপ ব্যাগ আর মাঝারি আকারের ভ্যানিটি ব্যাগ। হাতে পড়তে পারেন সিম্পল বেল্টের ঘড়ি,কানে ছোট ইয়ার রিং বা গলায় সিম্পল একটা লকেট। বেশি জাকজমক ও আঁটসাঁট পোশাক পরিহার করুন, সেগুলো অফিসের সাথে মানানসই তো না-ই সাথে সারাদিন কাজ করেও আরাম পাবেন না।

২.প্রসাধনী তে পরিপাটি:-

মেকআপে যদি জানতে চান প্রথমেই হালকা বেজ দিয়ে নিন মুখে। মৌসুম, আপনার ত্বকের ধরন ও স্কিন টোন বুঝে ফাউন্ডেশন বা কম্প্যাক্ট পাউডার লাগাতে পারেন। একদম হালকা করে দিবেন যেন বুঝা না যায় আবার ফ্রেশ একটা চাপ আনবে চেহারায়। দরকার পড়লে শুধু কনসিলার দিন, এরপর প্রয়োজন এ কালের কারেক্টার দিয়ে ত্বকের কোন দাগ থাকলে ঠিক করে নিন। এবার ভালো মতো ব্লেন্ড করুন ব্রাশ অথবা স্পঞ্জ দিয়ে। যত ভালো ব্লেন্ড করবেন ততো তাই নিখুঁত ভাবে বেজ টা মিশে যাবে আপনার ত্বকে। এরপর লাইনার বা ওয়াটার প্রুফ কাজল টেনে নিন চোখে হালকা করে। আইলাইনার দিতে পারেন এতে চোখের শেপ আরো ভালো করে বুঝা যায়। ঠোঁটে একদম বেজ বা নিউড কালারের লিপস্টিক দিন যেটা ম্যাট। গ্লস লাগানোর প্রয়োজন নেই। আর হ্যাঁ, ঘাড়ে আর মুখে অবশ্যই বেজ দিবেন নতুবা দুই ধরনের কালার দেখায় যা খুবই অদ্ভুত।

এবার হালকা গোলাপি ব্লাশ দিয়ে নিন দুই গালে, সাথে হাইলাইটার দিয়ে ফুটিয়ে তুলুন আপনার ত্বকের জেল্লা। আই ব্রো জোড়া ব্রাশ দিয়ে সেট করে নিন। চাইলে আরেক ধাপ এগিয়ে কনটরিং করে নিতে পারেন। চেহারার আকার আকৃতি আরো ভালো ভাবে ফুটিয়ে তুলতে। হাল্কা কিন্তু দীর্ঘ সময় জুড়ে থাকবে এরকম সুগন্ধি ব্যবহার করুন। নেইলপলিশ চাইলে ক্লিয়ার বা ন্যুড শেডের দিতে পারেন।

মনে রাখবেন, অফিসে অতিরঞ্জিত, বিভিন্ন রঙের, আঁটসাঁট বা নজরকাড়া কিংবা অধিক ভারী গহনা এরকম কিছুই পড়বার/মাখবার একদম দরকার নাই। আজকের এই একটি কমপ্লিট লুকে বিভিন্ন রঙের শার্ট বা বিভিন্ন সোয়েটার পরে (মৌসুম বুঝে) আপনি এক্সপেরমিট ও করতে পারেন। একেবারেই ফরমাল ভাব, সাদামাটা ও পরিপাটি ভাবে নিজেকে অফিসে উপস্থাপন করুন। নিজের ব্যক্তিত্বে আরেকটি মাত্রা যোগ করুন।

সাম্প্রতিক