শীতিকালীন ভ্রমণে প্যাকিং এর সহজ পদ্ধতি

শীতিকালীন ভ্রমণে প্যাকিং এর সহজ পদ্ধতি

শীতের এই সময়টা ভ্রমণপিয়াসীদের জন্য ভ্রমণের সবচেয়ে উত্তম সময়। ভ্রমণের ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত হালকা প্যাকিং পছন্দ করি। কিন্তু শীতের সময়টায় হালকা প্যাকিং আসলেই সম্ভব কিনা তা নিয়ে সত্যিই যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। শীতের প্রায় সব জামাকাপড় ভারী হওয়ায় তা নিয়ে হালকা প্যাকিং বেশ দূরুহ বৈকি। সেক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ আপনার শীতের ভারী পোশাক যেমন: বাল্কি জ্যাকেট, লং স্কার্ফ এগুলো ভ্রমণের দিনই পরিধান করা শ্রেয়। আর প্যাকিং এর ক্ষেত্রে ওজনে হালকা পোশাকগুলো নেয়া যেতে পারে।

শীতে হালকা প্যাকিং এর উপযোগী আমাদের প্যাকিং লিস্ট অনেকটা এরকম :

১. এক জোড়া প্যান্ট :  ভ্রমণের ক্ষেত্রে এক জোড়া প্যান্টই আপনার জন্য যথেষ্ট হতে পারে। শীতের কথা মাথায় রেখে লেগিংস বা জিন্স নিতে পারেন। সেইসাথে সব পোশাকের সাথে মানানসই রঙ নির্বাচন করা ভালো হবে।

২. দু’/তিনটা সোয়েটার : সোয়েটারের ক্ষেত্রে মেরিনো উলের মাঝারি সাইজের সোয়েটার নেয়া বেশি গ্রহণযোগ্য। কেননা, তা ওজনে হালকা এবং অধিক উষ্ণ। রঙের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ রঙগুলো বেশি মানানসই। 

৩. দু’/তিনটা কলার্ড শার্ট : সোয়েটারের সাথে কলার্ড শার্ট বা স্পিফি সোয়েটার শীত এবং ফ্যাশন দু’টোর জন্যই পার্ফেক্ট।

৪. একটা/দু’টো টিশার্ট : সারাদিন ভ্রমণ শেষে রাতে আরামদায়ক পোশাক হিসেবে একটা/দু’টো টিশার্ট লিস্টে রাখা আবশ্যিক। হেম দ্বারা তৈরী টিশার্টগুলো একই সাথে প্রাকৃতিক অন্তরক এবং এন্টিব্যাক্টেরিয়াল, কিছুটা পশমের মতো।

৫. স্কার্ট : ট্রেন্ডি লুকের জন্য টি শার্ট বা ডাউন বাটন শার্টের সাথে স্কার্ট বেশ মানানসই। শীতের কথা মাথায় রেখে নিচে লেগিংস এবং ক্লাসি লুকের জন্য কোমরে বেল্ট পড়া যেতে পারে। মেয়েদের ক্ষেত্রে ভ্রমনে টুরিস্ট লুকের জন্য অন্তত একটা স্কার্ট সাথে রাখা যেতেই পারে।

৬. একটা/দু’টো স্কার্ফ : শীতের কথা মাথায় রেখে প্যাকিং লিস্টে স্কার্ফ তো অবশ্যই রাখা উচিত। যেহেতু বহনে সহজ তাই ভিন্ন ভিন্ন রঙের স্কার্ফ দিয়ে সহজেই পোশাকে ভিন্নতা আনা যায়।

৭. হ্যাট : ভ্রমণের প্যাকিং লিস্টে হ্যাট নিতান্তই আবশ্যিক বৈকি। শীতের জন্য বিভিন্ন কালারফুল বিনী বেশ উপযোগী।

৮. জ্যাকেট : বাল্কি জ্যাকেটের পাশাপাশি এক্সট্রা হালকা জ্যাকেট নেয়া যেতে পারে।

৯. এক জোড়া জুতো : শীতের সময় বুট জুতোই বেশি আরামদায়ক। সেক্ষেত্রে একজোড়া নুট জুতোই যথেষ্ট। এতে আলাদাভাবে প্যাকিং এর ঝামেলা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।

১০. টয়েলেট্রিজ/ মেকাপ/ গিয়ার : এই বিটটি যতোটা সম্ভব হালকা রাখা ভালো। নিতান্তই প্রয়োজনীয় এবং ব্যবহার্য জিনিসপত্র ব্যতীত বাড়তি কিছু না নেয়াই উচিত। সেক্ষেত্রে টুথব্রাশ, হ্যান্ড সোপ, বাথ জেল এবং মেকাপের ক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজার, আই লাইনার, একটা সিগনেচার কালারের লিপস্টিকই যথেষ্ট। 

এসব কিছুর সাথে পৃথকভাবে ক্যামেরা ব্যাগ এবং ডে ব্যাগ নিয়ে নেয়াটা সুবিধাজনক। ব্যস! তাহলে আর দেরি না করে প্যাকিং সেড়ে ফেলুন এবং বেরিয়ে পড়ুন গন্তব্যে।

সাম্প্রতিক